সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে চারদিনব্যাপী বইমেলার আয়োজন করা হয়। স্থানীয় সময় শুক্রবার (১৪ জুলাই) বিকেলে এর উদ্বোধন করেন কথাসাহিত্যিক ও গবেষক শাহাদুজ্জামান। প্রধান অতিথি ছিলেন বীর প্রতীক ক্যাপ্টেন ডা. সিতারা বেগম। অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন বইমেলার আহবায়ক ও লেখক ড. আবদূন নূর।
অত্যান্ত দুঃখের বিষয় হলো, উদ্বোধনের দিন ‘বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার আদলে’ তৈরি ফিতা কেটে বইমেলার উদ্বোধন করা হয়। এ ঘটনা জাতীয় পতাকার অবমাননার সামিল বলে উল্লেখ করেছেন সচেতন প্রবাসীরা। এতে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন নিউ ইয়র্ক প্রবাসী বাংলাদেশিরা।
শুক্রবার বিকেলে মুক্তধারা ফাউন্ডেশন আয়োজিত নিউ ইয়র্কের জ্যামাইকা পারফমিং আর্টস সেন্টারে ৩২তম মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দেশ ও প্রবাসীর বিভিন্ন লেখক, সাহিত্যিক ও কথিত বুদ্ধিজীবিদের উপস্থিত ছিলেন। এসময় জাতীয় পতাকার চরম অবমাননা করা হচ্ছে জেনেও উপস্থিত কেউ এর প্রতিবাদ করেননি। মেলা উদ্বোধনের ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে প্রবাসীদের মাঝে ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়।
প্রসঙ্গে নাম প্রকাশ না করার শর্তে জনৈক প্রবাসী বীর মুক্তিযোদ্ধা বলেন, বই মেলার উদ্বোধনীতে এ ধরণের ঘটনা দেখে আমি বিস্মিত হয়েছি। উপস্থিত সকলেই কবি, সাহিত্যিক, লেখক, সাংবাদিক, প্রকাশক ও মুক্তিযোদ্ধা। জাতীয় পতাকার আদলে কোন কিছু তৈরি করে কাটা বা পোড়ানো জাতীয় পতাকার চরম অবমাননা। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ব্যক্তিদের কারো মাথায় এটা ঢুকলো না। আর আয়োজকরাই বা কীভাবে এটা তৈরি করেন তা ভাবতেও পারছি না। তারা সত্যিই যদি এ ঘটনা ঘটিয়ে থাকেন তাহলে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষন করে জাতীয় পতাকার অবমাননাকারী ও এ ঘটনায় জড়িতদের বিচার দাবি করছি। সেই সাথী তিনি এ ঘটনার জন্য নিন্দা প্রকাশ করেন।
বেশ কয়েকজন সাংবাদিক এ ঘটনার প্রেক্ষিতে বলেন, বই মেলার নামে সংঘবদ্ধ এই চক্রটির বাংলাদেশ ও কলকাতা থেকে আদম ব্যবসা বন্ধ হওয়া দরকার। গত ৩১ বছর ধরে সেই একই ব্যক্তিরাই বই মেলার সঙ্গে জড়িত থেকে অবৈধভাবে নানা ধরনের বাণিজ্য করে আসছেন। বাংলাদেশের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতি আরোপের পর বিশেষ করে এবারে বেশি আদম আমদানী হয়েছে কলকাতা থেকে। শুধু তাই নয় প্রতিবারের বইমেলাতেই মুসলমান লেখক প্রকাশকের চেয়ে সনাতনী লেখক প্রকাশকে প্রাধান্য দিয়ে থাকেন মুক্তধারা ফাউন্ডেশন ও সংশ্লিষ্টরা।